সুদেষ্ণা মন্ডল, কুলতলী: নিঃশব্দের শিকারি কখন যে আঘাত হানবে কেউ জানে না। তবুও সেই ভয়কে উপেক্ষা করেই সুন্দরবনের মানুষ জীবন ও জীবীকার তাগিদে বেড়িয়ে পড়েন রোজগারের জন্য। তবে এবার দক্ষিণ রায়ের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে সুন্দরবনের কুলতলির গ্রামবাসীদের। ফের মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ।
শীতের শুরুতে একাধিক বার দেখা মিলেছে জঙ্গলের রাজার। সুন্দরবনের বাঘ কুমির দেখার টানে হাজার হাজার টাকা খরচ করে দেশ বিদেশের বহু পর্যটক হাজির হয় সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এই প্রাণী সেখানের মানুষের কাছে যমের মতই। ভয় বেড়েছে আরও কারণ, সুন্দরবনের কুলতলির গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের গায়েনের চক এলাকায় জঙ্গল সংলগ্ন নদীর চড়ে পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। সেই পায়ের ছাপ ঘিরেই বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে এদিন স্থানীয় দুই মহিলা নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে নদীর চড়ে তাজা বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায়। তা দেখেই আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে মহিলারা।
মহিলাদের তাদের চিৎকার শুনেই আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় অন্যান্য মৎস্যজীবীরাও। যেহেতু পায়ের ছাপ তাজা ছিল সেই কারণেই নৌকার বৈঠা, লাঠি নিয়ে সকলে জড় হয় ওই এলাকাতে। সুরক্ষার জন্য, মহিলদের সঙ্গে নিয়েই গ্রামে ফেরেন তাঁরা। তারপরেই এই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় বনবিভাগের কর্মীদের কাছে। খবর পেয়েই আসল ঘটনা পরিদর্শনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদফতরের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, বাঘের পায়ের ছাপ দেখেই আপাতত বাঘটিকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। লোকালয়ে গিয়েছে নাকি বনের দিকেই ফিরে গিয়েছে সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কারণ কয়েকদিন আগেই কুলতলির ভুবনেশ্বরী গ্রামে ফাঁদে পড়েছিল বাঘ। তারপরেই আবারও বাঘের পায়ের ছাপ মেলাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।